মোঃ এনামুল হক নড়াইল লোহাগড়া স্টাফ রিপোর্টারঃ নড়াইল জেলা কালিয়া উপজেলাধীন ১২টি ইউনিয়ন নির্বাচন। কালিয়া উপজেলার ৪নং মাউলি ইউনিয়ন নির্বাচনে ৪জন চেয়ারম্যান প্রার্থী নৌকা প্রতিক রোজি হক,স্বতন্ত্রী প্রার্থী ফিরোজ খান প্রতীক আনারস,,আবুল কাশেম রহিত প্রতীক ঘোড়া,

বর্তমান চেয়ারম্যান সাজ্জাদুর রহমান সাজ্জাদ প্রতীক মোটরসাইকেল। আজ বেলা ১২টার দিকে ৪নং মাউলি ইউনিয়নের ইসলামপুর ওয়ার্ডের, ইসলামপুর সঃপ্রাঃবিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে হামলার ঘটনা ঘটে। কেন্দ্রে উপস্থিতিতি জনতার সামনে আওয়ামীলীগ নেতা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাদিউজ্জামান হাদি-তিনি মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী সাজ্জাদ হোসেন কে কেন্দ্রের ভিতর প্রবেশ করতে বাধাঁ প্রদান করে,

তার সাথে থাকা লোকদেরকে মারপিট করে,এতে করে গুরুতরভাবে আহত হয়। চেয়ারম্যান সাজ্জাদ হোসেনের যে লোকটি গুরুতরভাবে আহত হয়েছে তার নামটি অজ্ঞাত পরিচয় জানা যায় নাই,তবে তার জনতার হাতের আঘাতে ডানচোখ দিয়ে প্রচুর পরিমানে রক্তক্ষরন হয়।

ভোট কেন্দ্রে কর্রতব্যরত পুলিশবাহিনী ও আনসার বাহিনী প্রথম অবস্থায় বাধাঁ প্রদান করে নাই,আহত ব্যাক্তিকে প্রশাসন সহযোগীতা করে নাই,তবে ঐ কেন্দ্রের পাশের স্কুল ভোট কেন্দ্রে থাকা লোহাগড়া থানার এএসআই আকরাম তিনি ঘটনা দেখে তার ফোর্স নিয়ে পরিস্হিতি নিয়ন্ত্রন করেন।

সাংবাদিকগন এএসআই আকরাম এর সাথে বলেন এবং তাকে ধন্যবাদ জানান। উপস্হিতিতি ছিলেন সাংবাদিক টীমের,নড়াইল জেলা আরজেএফ সভাপতি ও নড়াইল প্রেসক্লাবের ভাইস প্রেসিডেন্ট মোঃ সাজ্জাদ আলম খান সজল,লোহাগড়া আরজেএফ সভাপতি সাংবাদিক মোঃ এনামুল হক,সাঃসম্পাদক মোঃ ইমরুল হাসান,মোঃ এনামুল ইসলাম আকাশ,

মোঃ নুরইসলাম নুর,নড়াইল জেলা আরজেএফ এর মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মোসাঃ সোহানা পারভীন জনি,আরো ও অনেক সাংবাদিকগন। পর্রবতীতে চেয়রাম্যান সাজ্জাদ এর সাথে সাক্ষাত হয়,তার মুখের বক্তব নেন সাংবাদিক সজল খান,সাজ্জাদ চেয়ারম্যান(মোটরসাইকেল প্রতীক) বলেন তার সাথে এমন আচারন করা ঠিক হয় নাই,তিনি বলেন আমার সাথে যে ধরনের আচারন করা হয়েছে, অন্যায়ভাবে এবং নির্বাচনীর নীতিমালার বহির্ভূত।

পুলিশের সামনে ঘটনাটি ঘটে তবে তারা বাধাঁ দিলে আজ আমার সাথে থাকা লোকের উপর হামলা করতে পারতো না,সেই সাথে বলেন তেলিডাঙ্গা ভোটকেন্দ্রের ভিতর ভোটচুরি চলছে,তবে তার কথার সাথে মিল রেখে সাংবাদিকরা বলেন চেয়ারম্যান সাহেবের কথা ঠিক,

কারন ঐ ভোট কেন্দ্রের ভিতর অনিয়ম চলছে এবং প্রশাসন পক্ষ নিয়ে ডিউটি করছে। চেয়ারম্যান সাজ্জাদ প্রশাসনের উপর মহলের নিকট বিচারের দাবী করেন সেই সাথে তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। সাধারন জনগনের সাক্ষাতকারে অনেকেই বলেন,এমন নির্বাচন কখনও শুনি নাই,

দেখি নাই,তবে এই বছরে ইউপি নির্বাচন কেন্দ্রে আওয়ামীলীগ দলের কর্মীরা হঠাৎ হামলা ও আক্রমন করতে দেখা যাচ্ছে। এদিকে বেলা ১টার পর বড়দিয়া টুনা ভোট কেন্দ্রে গুলিবর্ষণ হয়,নৌকা প্রতীক প্রার্থীর লোক জোর করে ভোট কেটে বাক্সে ভর্তি করে,পুলিশ বাধাঁ না দেওয়ায়,

বিপক্ষের বিদ্রোহী প্রার্থীর লোক এসে,ভোট চোরদের চুরি করা অবস্থায় তাদেরকে বাধা দেয়, পরে পরিস্হিতি নিয়ন্ত্রন করার জন্য পুলিশ ব্লাং ফায়ার (গুলি বর্ষণ) করেন। এলাকার লোকজন ভয়ভীতি ও আশংকাতে ভোট কেন্দ্রের থেকে,ভোট না দিয়ে ভোট কেন্দ্র ত্যাগ করেন।